রোহিঙ্গা ক্যাম্প কয়টি? কি কি?

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৯টি। নিচে ক্যাম্পগুলোর নাম ও স্থান দেয়া হয়েছে।
  • কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প: কুতুপালং এ মোট ২৮ টি ক্যাম্প রয়েছে। ক্যাম্প ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯ এবং ক্যাম্প ২০ কুতুপালং অবস্থিত।
  • হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ১৪
  • জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ১৫
  • ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ১৬
  • চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ২১
  • উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ২২
  • সামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ২৩
  • টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প : ক্যাম্প ২৪, ২৫, ২৬ এবং ২৭
  • নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প: ক্যাম্প ২৮




রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, উখিয়া ও ভাসানচরে নার্সিং জব প্রত্যাশিদের জন্য বিশেষ প্রতিবেদন ২০২০


রোহিঙ্গা ক্যাম্প

চলমান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নার্স নিয়োগের খবরাখবর ও বিস্তারিত তথ্য পাবার জন্য mynursing.net থেকে অনেক চেষ্টার পর ড. আজমীরা সেনকে আমরা পাই, আমাদের হয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে দেয়ার জন্য। ড. আজমীরা ২০১৮ সাল থেকে IRC তে ডাক্তার হিসাবে (শিশু) দাযিত্ব পালন করছেন। চলুন তার লেখা প্রতিবেদনটিই সরাসরি পড়া যাক।

নিজস্ব প্রতিবেদন-- mynursing.net এর পক্ষে,
ড. আজমীরা সেন
আই. আর. সি (IRC), উখিয়া (রোহিঙ্গা ক্যাম্প)

IRC ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন একজন ডাক্তার
ফটোঃ IRC ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন একজন ডাক্তার।

আই. আর.সির নার্স নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, বেতন, সুযোগ সুবিধা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি তৈরি করার জন্য আমার জানা তথ্যই যথেষ্ট ছিলো, তবুও মাই নার্সিং সাইটের এডমিন সাঈদুলের অনুরোধে আমাদের প্রকল্প পরিচালক ব্রাউন স্যারের সামনা সামনি বসলাম, আলোচনার অডিও রেকর্ড মাইনার্সিং ক্লাবের এডমিনের কাছে দেয়া হয়েছে।

জানতে চেয়েছিলাম নার্স নিয়োগ দেয়া হবে কত জন?

উত্তরে জানালেন আপাতত মিডওয়াইফ ও নার্স মিলে অনেকজন প্রয়োজন রয়েছে। তবে ভাষানচরে সিনিয়রদের ট্রান্সফার করা হলে নতুন করে ৪ টা গ্রুপ করা লাগবে। তখন আরো বেশি প্রয়োজন হবে।

আনুমানিক জানতে চাইলে বলেন, সেটা এখনি বলা যাচ্ছেনা। কতটা পরিসরে কাজ করতে হবে তার উপর নির্ভর করবে। তাছাড়া WHO তে (ভাসানচর) আমাদের একটা টিমকে যোগ দিতে হবে সম্ভবতো, সেক্ষেত্রে নতুন টিমের জন্য আরো ভলিনটেয়ার (নার্স) লাগবে।
স্যারের সাথে এতটুকুই কথা হয়।

নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন কত হবে?

নিয়োগের বেতন কত হবে এটা সবসময়ই নির্দিষ্ট না। প্রজেক্টের কর্মপরিসর কতটা তার উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয় আই.আর.সিতে। আমি যখন প্রথম ২০১৮ তে IRC তে যোগদান করি তখন নার্সিং ভলিনটেয়ারদের স্টার্টিং সেলারি ছিলো ৪৬,০০০ টাকা। এরপর ২০১৯ এ যে নিযোগ হযেছিল, তা আমার সঠিক মনে নেই। এজন্য মেনেজারের ডেক্সে আসি। প্রথমে উত্তর দিতে না চাইলেও, যখন জানালাম একটি online নার্সিং প্লাটফর্ম mynursing.club এ নিউজ করবার জন্য তারা আমাকে অনুরোধ করেছেন। তখন কিযেন ভেবে নিয়োগকৃত ভলিনটারদের খাতা বের করে বললেন ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন ৪৬,০০০/- health Volunteer (Nurse) ২০২০ সালের গত আগস্ট মাসে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন ছিল ৪৭,২৫০ টাকা।

➝ এবারের সার্কুলারে বেতন কত হবে?
উত্তরঃ ৪৭,২৫০ টাকা, তাছাড়া অন্যান্য ভাতাদি থাকবে।

এবার আসি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বিষয়ে। বাৎসরিক ২ টি উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন সবাই। তাছাড়া মোবাইল বিল ও মেডিক্যাল বিল দেয়া হয়া। থাকবার জন্য IRC এর নিজস্ব তত্যাবধানে সুরক্ষিত ও যথেষ্ট ভাল আবাসন রয়েছে। খাবার জন্য রযেছে সুব্যবস্থা।

ড্রেস বা পোশাকের বিষয়ে কিছু বলুন....
mynursing থেকে সাঈদুল যখন জিজ্ঞেস করলো, ড্রেস পরায় কিকি বিধি নিষেধ রয়েছে? প্রশ্নটা শুনে আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিরক্ত হই। নার্সিং প্রফেশনে বিভিন্ন হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের হিজাব বা অন্যান্য বিষয়ে অনেক ঝামেলা মাঝে মাঝে শুনি। কিন্তু আইআরসিতে যারা জব করছেন- আমাদের কেউ কখনো এ ধরণের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেননা। যার যেমন ইচ্ছা তেমন ড্রেসে ডিউটি করতে পারেন। এমনকি অফিসে রিপোর্ট জমা দেয়াকালেও অনেকে পুরো মুখ হিজাবে ঢেকে রাখেন, তাতেও কখনো কোনো বাধা দেয়া হয়না। তবে মাঠ পর্যায়ে ডিউটি কালিন অবশ্যই IRC এর নিজস্ব এপ্রোন/ শার্ট পড়তে বলা হয় এবং গলায় আইডি কার্ড ঝুলাতে বলা হয়, তাছাড়া অন্যকোনো বিধিনিষেধ নেই।

যে যার নিজস্ব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন, কোনো বাধা-নিষেধ নেই।

এবার চলুন আই.আর.সি সম্পর্কে কিছু জানা যাকঃ

২০১৮ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে আগমন ও কার্যক্রম শুরু করে, International Rescue Committee (IRC) আজ থেকে ৮৭ বছর পূর্বে ১৯৩৩ সালে সর্বপ্রথম IRC প্রতিষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক সিটিতে। বাংলাদেশে তাদের আগমণের কারণ ছিল, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের সেবা প্রদান করা। তারি ধারাবাহিকতায় এখনো সংস্থাটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে সংস্থাটির (NGO) দাপ্তরিক অফিস ঢাকায়, তাছাড়া তাদের সেবা কেন্দ্রীক একমাত্র অফিস/ কেন্দ্র ছিল, উখিয়া, কক্সবাজার। তবে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানানতর করার কারণে সেখানেও নতুন আরেক কেন্দ্র বা অফিস প্রস্তুত করা হয়েছে।

IRC ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ভলিন্টেয়ার ইয়েসমিন
ফটোঃ IRC ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ভলিন্টেয়ার ইয়েসমিন(বামে)
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url